author-avatar

About MD Naim

আমি মুহাম্মাদ নাঈম। আমি ডিজিটাল প্রডাক্ট ও সার্ভিস প্রদান করে থাকি। আমার দৈনন্দিন জীবনের আপডেট গুলো এখানে প্রকাশ করে থাকি।

ঘৃণার মেরিন

সিজন ১   গল্প – ঘৃণার মেরিন  পর্ব – ০১  লেখিকা – মোহনা চৌধুরী               ☆ভালোবাসি.....     ☆কি??!!      ☆বললাম যে ভালোবাসি....   ☆ভালোবাসি মানে??        ☆ভালোবাসি মানে ভালোলাসি।  আমি আপনাকে ভালোবাসি। খুব ভালোবাসি ॥     ☆ এই মেয়ে তুমি কি out of mind .... তুমি কি আমাকে চেনো? জানো? আমাকে আগে কখনো দেখেছো? আমি কি? আমি কে? বিবাহিত না অবিবাহিত? ধনী নাকি গরীব? ভালো নাকি খারাপ? পরিবার কেমন?  পরিবার আছে কিনা? even  নাম কি সেটাও কি জানো?     ☆নাম ছাড়া মানুষ হয় কিনা আমি জানি না¿¿  কিন্তু তবুও যদি  আপনার নাম না থাকে আমি নাম দিবো।   অর্থ না থাকলে অর্থ দিবো।  Fame  না থাকলে  fame দিবো।  পরিবার না থাকলে পরিবার দিবো। gf থাকলে break up করিয়ে দেবো।  বিবাহিত হলে  divorce করিয়ে দিবো। আমাকে ভালোনাবাসলেও ভালোবাসবো....  আপনার...

Continue reading

নীলাবতী (চলমান)

নিজের স্বামীকে হত্যা করে ফ্রিজের ভিতরে তালাবদ্ধ করে বাসা থেকে বেরিয়ে চলে আসলো নীলা। নীলা এতো বড় একটা কাজ করলো কিন্তু তার মনে কোনো ভয়ডর কাজ করছেনা। তার মাঝে কোনোরকম খারাপ লাগাও কাজ করছেনা। নীলা বাসা থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে নদীর পড়ে চলে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো একটা মেয়ে আসলো।     #নীলাবতী সূচনা পর্ব লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ       -- নীলা কাজ শেষ? -- হুম, মেরে ফ্রিজের ভিতরে রেখে চলে আসছি কেউ খোঁজ পাবেনা। পেলেও অনেক দেরি হয়ে যাবে। -- যদি কেউ জেনে যায় তখন কি হবে? যদি পুলিশ খোঁজ পেয়ে যায় তাহলে তো তোর ফাঁ*সি হয়ে যাবে। নীলা একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল -- এসব আমি ভয় পাইনা, এখনও আমার অনেক কাজ বাকি। -- মানে? আর...

Continue reading

মেঘের শহর (চলবে)

#মেঘের_শহর #পর্ব_১ Saji Afroz . আমি কি ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলাম! ঘুম ভাঙার পরে বিস্ফোরিত চোখে নিজের বুকের উপর হাত বুলাতে বুলাতে প্রকান্ড একটা চিৎকার দিয়ে উঠে জিকো। সাথে সাথেই নিজের মুখ দুহাত দিয়ে চেপে ধরে সে। কন্ঠটাও যে একদম মেয়েদের মতো বের হলো গলা দিয়ে! এটা কোনো দুঃস্বপ্ন নয় তো! ভাবতে ভাবতে সে দৌড়ে চলে যায় বেসিনের আয়নার সামনে। জিকোর অভ্যেস ছিল খালি গায়ে ঘুমানো। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকাতেই বড়সড় একটা ঝাটকা খায় সে। মাথায় লম্বা চুল গজিয়েছে। খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো ও গায়েব। বুকেও কোনো লোম দেখা যাচ্ছেনা। তার বদলে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু সুঢৌল মাংসপিণ্ড!  কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হচ্ছে তার। কাঁপা কাঁপা হাতে ট্রাউজারের ফিতা খুলে নিচের দিকে তাকায় জিকো।...

Continue reading

বেলা শেষে

গোধুলীলগ্নে গলির সামনে ফারাবীর মুখে সজোরে চড় বসিয়ে দেয় মেহুল। ছেলেটার সাহস হয় কি করে তার মতো বিবাহিত নারীকে প্রেম নিবেদন করার। বলা নেই, কওয়া নেই, আকস্মিক ভাবেই ছেলেটা তার পথ আটকেছে। শুধু তাই নয় কি সাহস তার! সে কি না বলে,  --- "মেহুল, আমি আপনাকে ভালোবাসি" মেহুল রাগে কাঁপছে। সে ক্ষীপ্র দৃষ্টি তাক করে আছে সে ফারাবীর দিকে। অদৃশ্য লহমান শিখা বের হচ্ছে তার দৃষ্টি থেকে। যেনো ছেলেটিকে দৃষ্টি দিয়েই পুড়িয়ে দিবে মেহুল। তীব্র রোষের সাথে বলে সে,  --- "তোমার স্পর্ধা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। সাহস হয় কি করে আমাকে আজেবাজে প্রস্তাব দেবার?"  --- "স্পর্ধা...

Continue reading

কুসুমিত কামিনী

শেষরাতের দিকে ছাদ থেকে নেমে ঢুলু ঢুলু চোখে রুমে ঢুকল মাহতিম। বিছানায় তাকিয়েই চোখ কপালে তুলল। দেখল নাক অবধি ঘোমটা টেনে নববধুরূপে জান্নাত এখনো বসে আছে।    জান্নাত বিছানা থেকে নেমেই পা ছুঁয়ে সালাম দিতে গেল তাকে।মুহুর্তেই   ড্যামিট! এসব কি বলেই একটানে পা দুটো সরিয়ে নিল মাহতিম।   মেয়েটি মাহতিমের দিকে চেয়েই তব্দা খেল।  আরেহ ভাইয়া আপনি আমার বর? বিস্মিত চোখে জিজ্ঞেস করলো জান্নাত।    নো। আমি কারো বর নই। আনকালচার! ডিজগাস্টিং! তুমি আমাকে আগে থেকেই চিনতে নাকি?   আপনি আমাকে কয়েকমাস আগেই দুজন বখাটে ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।   তাহলে আমি চিনলামনা কেন তোমাকে?   আমার তো বোরকা পরা ছিল। মুখ নেকাব দিয়ে ঢাকা ছিল।    একটু থেমে বলল মাহতিম। হুম মনে পড়েছে। এজন্যই বুঝি আমার গলায় ঝুলে পড়ে গেলে? যখন বুঝলে আমি ভালো...

Continue reading

আমার স্বপ্ন সুখের আঙিনা

আমার স্বপ্ন সুখের আঙিনা   (ছোটগল্প)   সুমাইয়া মীম   ‘আম্মুউউউ...!’   হুট করে আমার এমন চিল্লানি শুনে আমার শাশুড়ী আম্মু হন্তদন্ত হয়ে রান্নাঘরে ছুটে এলেন। এসেই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে বউমা..? শরীর খারাপ লাগছে..? আমি এই জন্য তোমাকে বারবার নিষেধ করেছিলাম যে এই শরীর নিয়ে রান্নাঘরে এসো না। কিন্তু তুমি কি আর আমার কথা শোনার পাত্রী! আজ খোকা ঘরে আসুক, আচ্ছামতো একটা বকা খাইয়ে দিবো তোমাকে। এরপর দেখবো রান্নাঘরে কীভাবে আসো।”   শাশুড়ী আম্মু একনাগাড়ে কথাগুলো বলে তবেই থামলেন। আমি কিছু মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গেলাম! কি জন্য ডেকেছিলাম সেটাই ভুলে ভুলে গেলাম। এরপর শাশুড়ী আম্মুর হাতের উল্টো পিঠে একটা চুমু খেয়ে মিষ্টি হেসে বললাম, ‘আম্মু, আপনি শুধু শুধুই অস্থির হচ্ছেন। আমার...

Continue reading

রঙিলা রাতের কালো অশ্রু

রাশিয়ার ইয়েকাতেরিনবার্গ শহর যেন আজ বৃষ্টিতে ভাসছে। এ বছরের ভিতর এই প্রথম এত ভারী বৃষ্টি হলো। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে একটানা বৃষ্টিপাত। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে বৃষ্টির জলে। বাহির জগতে মানুষের চলাচলও লঘু হয়েছে এর দরুণ।  ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে এখন মাঝরাত। বাইরে মানুষের চলাচল নেই। এই তীব্র নিশুতি বৃষ্টির রাতে সবাই-ই দরজায় খিল এঁটে ঘুমিয়ে গেছে। হয়তো কদাচিৎ দুই-তিনজন এখনও আছে বাইরে। হেসেতু নামের মেয়েটাও তাদেরই অন্তর্গত।  হেসেতু একটা রেস্তোরাঁয় কাজ করে। সন্ধ্যা থেকে তার কাজ শুরু হয়ে পাঁচ ঘণ্টা যাবৎ চলে। কিন্তু আজ সে ভুল বশত দুটো প্লেট ভেঙে ফেলেছে। যার কারণে রেস্তোরাঁর মালিক এত রাত পর্যন্ত কাজ করিয়েছে তাকে।  রেস্তোরাঁর মালিক একজন মোটাসোটা আফ্রিকান মহিলা। মহিলাকে হেসেতুর কখনোই পছন্দ হয়নি।...

Continue reading

মা আনিসুল হক ১ম প্রকাশ ফেব্রুয়ারী বইমেলা প্রকাশক: ফরিদ আহমেদ, সময় প্রকাশন, ৩৮/২ক, বাংলাবাজার, ঢাকা। উৎসর্গ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নিযুত শহীদের প্রত্যেকের মা-কে ১ আজাদের মা মারা গেছেন গতকাল বিকালে, পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে আজাদের ধরা পড়ার ঠিক ১৪ বছরের মাথায়, একই দিনে ৷ আজ তাঁর দাফন ৷ আলোকোজ্জ্বল শারদীয় দুপুর ৷ আকাশ ঘন নীল ৷ বর্ষাধোয়া গাছগাছালির সবুজ পাতায় রৌদ্ররশ্মি আছড়ে পড়ে পিছলে যাচ্ছে স্বর্ণলতার মতো ৷ শেওলা-ধরা ঘরবাড়ি দরদালানগুলো রোদে শুকুচ্ছে, যেন তারা বিছানা-বালিশ, বর্ষার আর্দ্রতা তাড়াতে তাদের কে যেন মেলে দিয়েছে রোদে ৷ রাস্তার কারুকার্যময় রিকশাগুলো ঝকমক করছে আলোয় আলোয় ৷ রিকশার ঘন্টির ক্রিং ক্রিং আওয়াজও যেন রোদে ঝিলিক দিচ্ছে ৷ এই চনমনে রোদের নিচে জুরাইন গোরস্তান চত্বরে সমবেত হয়েছেন এক দল শবযাত্রী ৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা...

Continue reading

মেঘের শহর (চলবে)

#মেঘের_শহর #পর্ব_১ Saji Afroz . আমি কি ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলাম! ঘুম ভাঙার পরে বিস্ফোরিত চোখে নিজের বুকের উপর হাত বুলাতে বুলাতে প্রকান্ড একটা চিৎকার দিয়ে উঠে জিকো। সাথে সাথেই নিজের মুখ দুহাত দিয়ে চেপে ধরে সে। কন্ঠটাও যে একদম মেয়েদের মতো বের হলো গলা দিয়ে! এটা কোনো দুঃস্বপ্ন নয় তো! ভাবতে ভাবতে সে দৌড়ে চলে যায় বেসিনের আয়নার সামনে। জিকোর অভ্যেস ছিল খালি গায়ে ঘুমানো। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকাতেই বড়সড় একটা ঝাটকা খায় সে। মাথায় লম্বা চুল গজিয়েছে। খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো ও গায়েব। বুকেও কোনো লোম দেখা যাচ্ছেনা। তার বদলে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু সুঢৌল মাংসপিণ্ড!  কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হচ্ছে তার। কাঁপা কাঁপা হাতে ট্রাউজারের ফিতা খুলে নিচের দিকে তাকায় জিকো।...

Continue reading

জ্বীন বর ( প্রথম খন্ড )

ভাতের সাথে বি'ষ মিশিয়ে নিজের মা'কে খেতে দিয়েছি। নাহ্, তিনি আমার সৎ মা না। তিনি আমার জন্মদাত্রী মা। তবে তাকে মা'রতে চাওয়ার একমাত্র কারন হলো পরকীয়া। ঘরে এতোবড় একজন যুবতী মেয়ে থাকতেও তিনি পরকীয়া করছেন তার দেবরের সাথেই। কাহিনীটা বেশ কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে। আমার বাবা নেহাৎ ভালো মানুষ বলেই এবং চাকরির জন্য বাইরে থাকার কারনেই এখনো এই ঘটনা জানেন না। তবে ছোট থেকে দেখে আসছি মায়ের সাথে কাকার একটা সংযোগ আছে। ছোট ছিলাম বলেই আগে কিছু বুঝে ওঠার সুযোগ ছিল না। বড় হওয়ার সাথে সাথে এবং সময়ের পরিবর্তনে সবটাই এখন বুঝতে পারছি। বাবাকে বলে লাভ হবেনা, তিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কখনো অবিশ্বাস করবেন না। তবে ঠকানোর শাস্তি আমার কাছে...

Continue reading